সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন

গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টারঃ বল্লমঝাড় ইউনিয়নের দক্ষিণ কুমরপুর গ্রামে নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা না নেয়ায় ওই গ্রামের অধিবাসীরা নিহতের লাশ কবর থেকে উত্তোলন ও ময়না তদন্তের দাবিতে দল বেঁধে কবর পাহাড়া দিচ্ছে। এ বিষয়ে গতকাল শনিবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে নিহতের স্বজন ও ওই গ্রামের অধিবাসীরা এক সংবাদ সম্মেলনে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও থানায় মামলা নেয়ার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে নিহতের বড় ভাই মোশারফ হোসেন লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, সদর উপজেলার দক্ষিণ কুমরপুর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র সাদিক হোসেনকে (ব্যবস্থাপনা) পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা নিতে গড়িমসি করে হত্যাকান্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করা হচ্ছিল। পরে থানা পুলিশের চাপে লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই ওই গ্রামে দাফন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ১৯ মার্চ বিকেল ৪টার দিকে একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়ি গ্রামের মোঃ আকাশ ও তার পিতা সাজু মিয়া তাদের বাড়িতে সাদিক হোসেনকে বেড়ানোর কথা বলে তাদের ব্যবহৃত সুজকি মটর সাইকেলে করে নিয়ে যায়। এর এক ঘন্টা পর সাজু মিয়া বাড়িতে খবর দেয় সাঘাটা উপজেলার ভাঙ্গামোড় সাধুর আশ্রম নামে এলাকায় অজ্ঞাতনামা বেপরোয়াভাবে ট্রাক্টরের ধাক্কায় সাদিক ও আকাশ সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত হয়েছে। তাদের গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। খবর পেয়ে সাথে সাথেই পরিবারের লোকজনসহ সদর হাসপাতালে এসে সাদিককে আহত অবস্থায় হাসপাতালের সামনে অ্যাম্বুলেন্সে দেখতে পায়। এসময় সাজু মিয়া কৌশলে সাদিককে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির কথা বলে পলাশবাড়ি উপজেলায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসককে ডেকে নিয়ে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সাদিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে ভেবে সাদিকের লাশ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে দাফন করা হয়। পরে জানতে পারে সাজু মিয়ার ছেলে আকাশ আহতও হয়নি এবং মারাও যায়নি এবং তখন থেকেই সাজু মিয়া ও তার ছেলে আকাশ পলাতক রয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনার কারণে ওই মটর সাইকেলটি ঘটনাস্থলের পাশে জনৈক সাইদুর রহমান সাঘাটা থানায় জমা দেয়।
সম্মেলনে বক্তব্য দেন নিহত সাদিকের মা জেলেখা বেগম, মামা আব্দুল জোব্বার, বড় ভাই জুয়েল মিয়া, রাশেদ মিয়া, মন্টু মিয়া, রুবেল মিয়া, লাখি বেগম, ছাত্তার মিয়া, নাসরিন বেগম প্রমুখ।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

 

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com